• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

বোরো আবাদে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  • ''
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০২৪

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:

যশোরের মণিরামপুরের জলাবদ্ধতা ভবদহ অঞ্চলে বোরো ধান চাষ করে এবারও কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটিয়েছে। ভবদহের অঞ্চলের সবচেয়ে জলাবদ্ধতা বিল বোকড় ও বিল কেদারিয়া। এই দুই বিলে কৃষকরা বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর এই দুই বিল পাড়ের কৃষকরা ৮০% জমিতে বোরো ধান চাষ করে ঘরে ধান তুলতে পেরে ছিল। তবে এ বছর কৃষকের মনে শঙ্কা ছিল এ বছর ফসল হবে কিনা। কিন্তু এ বছরও তাদের মুখে হাসির ঝলক ফুঁটে উঠেছে। ওই দুই বিলের অধিকাংশ ক্ষেতের ধান এখন পরিপক্ব। ধান জকাটা ও ফসল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেখা মন্ডল জানান, এ বছর বিল কেদারিয়ায় মোট ৫শ ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ৫শ ১০ হেক্টও জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বিল বোকড়ে ১হাজার ৩শ ২০হেক্টর জমির মধ্যে ৭শ ৩০হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এ বছর উবশি ধানের ফলন গড়ে ৩৩শতকের বিঘা প্রতি ২মণ ও হাইব্রিড ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২৮ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেন।

সরজমিনে এলাকায় গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা বিলগুলোতে মাঠ ভরা বাম্পার ফলন হওয়া ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটার উপযোগী হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ধান কেটে বাড়িতে তোলার পালা। লখাইডাংগা গ্রামের প্রতাপ মন্ডল বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধান পেঁকেছে ও ধান কাটাও শুরু করেছেন। বালিধা গ্রামের সানোয়ার হোসেনের তিতু সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, তার অর্ধেক জমির ধান পাঁকা শেষ, কাটার জন্য শ্রমিক ঠিক করছি। তবে বাজেকুলটিয়া, আলীপুর, পোড়াডাঙ্গা, সুজাতপুর, নেহালপুর, বালিধা, পাঁচাকড়ি ও মনোহরপুর কপালিয়া গ্রামের কৃষকরা শঙ্কায় রয়েছে পাঁকা ধান কেটে তোলা নিয়ে। তারা জানান, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে সব ফসল ঘরে তোলার। বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে তাতে যে কোনো সময় ঝড়-বৃষ্টির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কারণে আবহাওয়া বিরূপ হলে তাদেও ধান তুলতে না পারলে পথে বসতে হবে। যে কারণে তারা যত দ্রুত সম্ভব ধান ঘরে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় ও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু বলেন, ভবদহে ২০টি সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি সেচ দেয়ার সুফল এলাকার কৃষকরা এখন ভোগ করছে। তাই এ বছরও তাদের মুখে হাসি ফুটেছে বোরো ধান চাষ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads